রিকশা চালাচ্ছেন যে মেয়েটি, তাঁকে দেখে কৌতূহল হবে, হচ্ছে। একটু ভালো করে তাকালে ভ্রু কুঁচকে যাবে। কেননা মেয়েটাকে চেনা চেনা লাগছে। কে এই মেয়ে? সহসাই মনে পড়বে, টেলিভিশন পর্দায় দেখেছি, আরেকটু পর বোঝা যাবে হয়তো তিনি তানজিন তিশা।
আসলেই তানজিন তিশাই রিকশার প্যাডাল চাপছেন। আসন্ন ঈদে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘রিকশা গার্ল’। নাটকের চরিত্রের নাম শিখা, যে কিনা ছোট বোন পরীকে নিয়ে ঢাকার এক বস্তিতে থাকে। শিখার প্রিয়জন যিনি, তাঁর নাম রেজাউল। অজ্ঞাত কারণে শহর থেকে হারিয়ে গেছেন রেজাউল। সত্যিই কি হারিয়েছেন? তবে শিখা বাধ্য হন রিকশার হ্যান্ডেল ধরতে, প্যাডাল চাপতে।
রিকশা গার্ল নাটকে তানজিন তিশার সঙ্গে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল।
প্রথমবার এমন একটি কাজ করলেন। চালালেন রিকশা। অভিজ্ঞতা কেমন? তানজিন তিশা বলছেন, ‘নাটকের শিখা চরিত্র একটা বোধের জায়গা থেকে করা। সমাজের শ্রমজীবী নারীদের জীবন কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে এ নাটকে। এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি কাজ, একই সঙ্গে কোরবানি ঈদের অন্যতম একটি নাটক হতে যাচ্ছে। এই শহরের চেনা-অচেনা জায়গায় তানজিন তিশা থেকে বেরিয়ে এসে আমি রিকশার প্যাডালে পা দিয়েছি। চালিয়েছি রিকশা। আমি বুঝেছি এটা কষ্টকর কাজ, এই কষ্টকর কাজ মানুষ দিনের পর দিন করে যাচ্ছে। আর একটি মেয়ে যখন এই কাজ করে তার জন্য তৈরি হয় প্রতিবন্ধকতা, এই প্রতিকূলতা পরিবেশ। ’
নাটকটি নির্মাণ করেছেন রাফাত মজুমদার রিঙ্কু। মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এমন কাজ করতে আগ্রহী হয়েছেন বলে জানালেন তিনি। যেসব গল্প চোখের সামনে দেখা যায়, চোখের সামনে ভাসমান সেসব গল্প বা সেসব চরিত্রকে পর্দায় তুলে ধরতে পছন্দ করেন রিংকু। বললেন, ‘এমন গল্প নির্মাণে আমি অন্য রকম আনন্দ পাই। চারপাশের চেনাজানা চরিত্রগুলোর গল্প বলার মধ্যে অনেকের জীবনের ছবি দেখতে পাই! যাদের কথা কেউ বলে না, সেই কথাগুলো আমি তুলে ধরতে চাই! বলতে পারেন মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে এই নাটকটি পরিচালনা করা।’
নাটকটি যার মেধা ও মনন থেকে কলমে উঠে এসেছে তিনি আহমেদ তাওকীর। এই নাটকের গল্প লিখেছেন তিনি। গল্প প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন তাওকীর। বললেন, ‘এখন গল্পনির্ভর কাজের পরিবেশ ঠিক আগের মতো নেই। ট্রেন্ডি নামে সব অগল্পের গল্প হচ্ছে। আমি চেয়েছি একটা গল্প বলতে। যে গল্প একজন হার না-মানা নারীর!’
নাটকটি ঈদুল আজহায় নাটকটি আরটিভিতে প্রচার হবে বলে জানান নির্মাতা রিংকু।